“কাশেম”এর ঘরে আজ উনুন জ্বলেনি,
কারো পেটে পরেনি একফোঁটা দানা।
করোনা’র ভয়ে কেউ কোন কথা বলেনি,
লগডাউনে তাদের বাইরে যাওয়া মানা।।
বউ,ছেলে মিলে চারজনার এই সংসার,
টেনে টুনে নিয়ে যাচ্ছিল কাশেমের রিক্সা।
করোনা’র কারণে আজ শুধুই হাহাকার,
কোথা পাবে ভাত,বাচ্চার ক্ষুধার্ত জিজ্ঞাসা?
বড় ছেলেটা শুয়ে আছে,পেটের ক্ষুধায়,
বলছে না,বাবা,আর যে পারিনা সইতে।
ছোট ছেলেটা!ওরতো বুঝার শক্তি নাই,
শিশুর বেদনা,বাপে কেমনে পারে বইতে?
বউয়ের দু’চোখ লাল হয়ে গেছে কান্নায়,
কাশেম,আর কি বলে দিবে তারে সান্ত্বনা?
তবু কাছে ডাকে বউয়েরে,না বলা ভাষায়,
বলে,বাবুর মা,কিছু টাকা কাছে আছেনা?
বউ বলে,দুর হও,কবে দিয়েছিলে টাকা?
যে এনে দিব,জমানো ঐ সিন্দুক ভাঙ্গিয়া।
যতবার বলেছি,দরকার কিছু জমা রাখা,
ততবার মারতে গেছ,রান্নার বটি আনিয়া।।
নিরুপায় কাশেম,ত্যাজিবারে চায় সংসার,
বলে,অর্থ বিনে তার এই জীবন হল শেষ।
আয় বুঝে ব্যয় না করে,নেমেছে অন্ধকার,
ক্ষুধার্ত পরিবার ছেড়ে,হতে চায় নিরুদ্দেশ।।
তাই আয়ের সাথে মিলে,ব্যয় করা দরকার,
নয়তো,বিপদকালে হবে মনুষ্যত্ব ছারখার।।
লেখক
রূপন মল্লিক
উপপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ